ডোপামিন ডিটক্সের অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে আপনার স্টিমুলেশন এর মাত্রা কমিয়ে আপনাকে মূল কাজ শেষ করার জন্য অনুপ্রাণিত রাখা। এই অংশে আমরা দেখব কীভাবে আপনি গতিশীলতা বজায় রেখে গড়িমসি করার প্রবণতা জয় করবেন।
আপনার দিনের পরিকল্পনা সাজান
দিনে কী করবেন এই অভিপ্রায় বা ইচ্ছা আপনার উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর একটা কার্যকর উপায়। যখন আপনি প্রতিদিন সিদ্ধান্ত নেবেন আপনি আসলে দিনশেষে কী অর্জন করতে চান, আপনি তখন আপনাকে বিক্ষিপ্ত করে তোলার ঝুঁকি কমিয়ে ফেলবেন। অতএব, আপনার যত বেশি অভিপ্রায় বা ইচ্ছা থাকবে তত ভালো করবেন।
দিনের পরিকল্পনা এই কারণগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ :
কোন কাজগুলো গুরুত্বপূর্ণ এবং কোন কাজগুলো নয় এটা পরিষ্কারভাবে জানার একটা সুযোগ পান।
এটা আপনার মনকে বিক্ষিপ্ত থাকার সম্ভাবনাসমূহ কমিয়ে দেয়। কারণ আপনি আসলে জানেন আপনাকে কী করতে হবে আর আপনি এক কাজ থেকে অন্য কাজে খুবই মসৃণভাবে এবং কোনো ধরনের বিক্ষেপ ছাড়াই করতে পারবেন।
আপনি কম চাপ অনুভব করবেন এবং নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ আসবে। আপনার চারপাশের পরিবেশের উপর প্রতিক্রিয়াশীল হবার বদলে আপনি সক্রিয়ভাবে আপনার লক্ষ্যের দিকে এগোতে থাকবেন।
যেভাবে আপনার দিনের পরিকল্পনা সাজাবেন
আপনার দিনের পরিকল্পনা সাজাতে কোনো অভিনব কৌশলের দরকার নেই। এর বদলে আপনি একটা গোপন কৌশল অবলম্বন করতে পারেন যেটা আসলে কেউই মনে রাখে না- কাগজ ও কলম। সহজভাবে লিখে রাখুন আজকের দিনে আপনি কী মূল কাজগুলো করতে চান। এরকম ৩ থেকে ৫ টা কাজ আদর্শ। এগুলোকে গুরুত্ব অনুযায়ী সাজান এবং আপনার প্রথম কাজ শুরু করুন। প্রথম কাজ শেষ হলে পরেরটা শুরু করুন। এভাবে পুনরায় করতে থাকুন যতক্ষণ না আপনার লিস্টের সবগুলো মূলকাজ করা শেষ হয়।
এখানে যেসব জিনিস বিবেচনায় রাখবেন
নিশ্চিত করবেন যে এই সবই মূল কাজ যা আপনার জন্য দৃশ্যমান পরিবর্তন আনতে পারে। আপনার আসল কাজ কোনটা এটা জানার জন্য নিজেকে নিচের প্রশ্নগুলো করতে পারেনঃ
যদি আজকে আমাকে একটা কাজ শেষ করতে হয় তাহলে কোনটার প্রভাব সবচেয়ে বেশি হবে?
যদি আপনি এখনও নিশ্চিত না থাকেন তাহলে নিজেকে এই প্রশ্ন করুন:
একমাসের ছুটিতে যাবার আগে আমাকে যদি একটামাত্র কাজ শেষ করতে হয় তাহলে সেটা কোনটা হবে?
আপনি খেয়াল করে দেখবেন আপনার জন্য যে কাজটা করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সেই কাজটি আপনি সবচেয়ে কম করতে চান। বস্তুত এর কারণ সেগুলো করা চ্যালেঞ্জিং। আবার সম্ভবত আপনি জানেন না কোথা থেকে শুরু করা দরকার। অথবা সেসব আসলে অনেক বিরক্তিকর। কিন্তু ডোপামিন ডিটক্স আপনাকে এই কাজগুলোই সহজে মোকাবিলা করতে আপনাকে সাহায্য করবে।
মনে রাখবেন যে আপনি এই পদ্ধতি ব্যবহার করেই সাপ্তাহিক, পাক্ষিক, মাসিক বা বাৎসরিক লক্ষ্য নির্দিষ্ট করতে পারবেন। আমি আরও বলব কিছুটা দূরদর্শী হন। এটা হতে পারে পাঁচ বছরের অথবা দশ বছরের জন্য পরিকল্পনা। অবশ্যই এটা সবসময় নিখুঁত হবে না, কিন্তু একটা জিনিস অনুসরণ করে যাবার সহজ ধারণা বিশাল পার্থক্য তৈরি করবে।
স্বল্প সময়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করুন, এটাতে কৌশলগত পরিবর্তন আনুন যেন আপনি দীর্ঘস্থায়ী লক্ষ্যের দিকে পৌঁছতে পারেন। যেমন আমি যদি আগামী ৯০ দিনের মাঝে একটি বই লিখতে চাই একটা লক্ষ্য হবে আউটলাইন বা রূপরেখা তৈরি করা। আরেকটা লক্ষ্য হবে বইয়ের খসড়া তৈরি করা। আর পুরোপুরিভাবে লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য আমি প্রত্যেক দিনের জন্য নির্ধারণ করে ফেলব কতগুলো করে শব্দ লিখব।
অ্যাকশান স্টেপ
অ্যাকশান গাইড ব্যবহার করে অথবা আলাদা পৃষ্ঠায় আপনার প্রতিদিনের এবং সপ্তাহের লক্ষ্যগুলো লিখে ফেলুন।
প্রত্যেক দিন সকালে একটি প্রধান কাজ করার পরিকল্পনা করুন।
উৎপাদনশীলতা বাড়ানো নিয়ে হাজার হাজার বই রয়েছে, কিন্তু কাজে আসার মতো মূলনীতি আসলে অল্প সংখ্যক। আমি বিশ্বাস করি, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আপনার প্রধান কাজ কোনটা তা খুঁজে বের করা এবং সকালবেলার প্রথম কাজ হিসেবে সেটাকে মোকাবিলা করা এবং ক্রমাগতভাবে সেটা করে যাওয়া।
যদি আপনার হাতে কখনো শেষ না হওয়া কাজের লিস্টও থেকে থাকে তাও দেখবেন সেসব কাজের মাঝে কিছু কাজ থাকবে যেগুলো আসল। আর এসব আসল কাজ শেষ করতে পারলে দেখবেন আপনার উৎপাদনশীলতা ধীরে ধীরে আকাশ ছুঁতে চাইবে। সেসব শেষ না করা পর্যন্ত আসলে কিছুই কাজে আসবে না।
উৎপাদনশীলতার মূল বিষয় ৩ টা শব্দে বলা যায়:
১. ফোকাস বা মনোযোগ
২. ধারাবাহিকতা
৩. প্রভাব
১. ফোকাস:
এটা আপনার মনোযোগ ধরে রাখার সামর্থ্যকে বুঝায় এবং কাজের সময় সব ধরনের বিক্ষিপ্ততা ও গড়িমসি থেকে আপনাকে সরিয়ে রাখে।
২. ধারাবাহিকতা:
যা হচ্ছে আপনার মূল কাজ প্রতিদিন, সপ্তাহের পর সপ্তাহ, মাসের পর মাস বা বছরের পর বছর করতে পারার অভ্যাস গড়ে তোলা।
৩. প্রভাব:
যার অর্থ আপনার আসল কাজ খুঁজে বের করা (অর্থাৎ যে কাজগুলোতে আপনার জীবনে দীর্ঘস্থায়ী সাফল্য আসে) এবং যতটা সম্ভব সেসব নিয়ে কাজ করা।
উৎপাদনশীলতা বলতে তখন আমরা আপনার জীবনে সবচেয়ে প্রভাব ফেলা কাজগুলোর প্রতি অবিচল মনোযোগকে বুঝব।
এখন দেখা যাক আপনার দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য আপনার মনোযোগ ধরে রাখতে নির্দিষ্টভাবে কী করতে পারছেন।
লেজার রশ্মির মতো ধারালো মনোযোগ গড়ে তুলুন:
আপনার উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আপনার ফোকাস বা মনোযোগ লেজারের মতো ধারালো বানানোর ক্ষমতা অর্জন করতে হবে। প্রতিদিন মাত্র ৪৫ মিনিট আপনার যে কাজ করা দরকার সেটার প্রতি মনোযোগ দিন। দেখবেন এর আগে আপনি যাই চেষ্টা করেন না কেন এটা করার ফলে আপনার কাজে বেশি অগ্রগতি আসছে।
এই অংশে আপনি যেভাবে আপনার ফোকাস বাড়াবেন ও প্রতিদিন আপনার আসল কী টাস্ক বা কাজ শেষ করতে কী করতে হবে সেসব নিয়ে আলোচনা করব।
১. প্রতিদিন একই সময়ে একই জায়গায় থাকুন
আমরা আগেই বলেছি প্রতিদিনের একটা সহজ রুটিন আপনার মানসিক অবস্থা ঠিক রাখতে আপনাকে সাহায্য করবে, আত্মনিয়ন্ত্রণ আনবে এবং আপনার স্টিমুলেশন কমাবে। এর ফলে কাজ শুরু করা সহজ হবে।
একটা জিনিস আপনার রুটিনকে শক্তিশালী করতে পারে সেটা হচ্ছে প্রতিদিন একই জায়গায় একই সময়ে থাকা। বিখ্যাত লেখক স্টিফেন কিং, প্রতিদিন একই জায়গায় একই সময়ে তার ডেস্কে বসতেন এবং লিখতেন। তিনি লেখার অনুপ্রেরণা আসবে এই আসায় বসে থাকতেন না। এর বদলে তিনি জানতেন কাজে ডুবে গেলে অনুপ্রেরণা এমনিতে আসবে। আপনি এই কাজ করুন। একটা জায়গা ও সময় নির্ধারণ করুন যেখানে প্রতিদিন বসে আপনি আপনার প্রধান কাজ মোকাবিলা করবেন। এরপর একটানা একবার কাজটা করার চর্চা করুন আপনি ধীরে ধীরে আপনার ধারাবাহিকতা ও ফোকাস তৈরি করবেন।
মনে রাখুন, উৎপাদনশীলতা আপনার সবচেয়ে প্রভাবশালী কাজগুলোর উপর ফোকাস এনে ক্রমাগতভাবে সেটা করে যাওয়া ছাড়া আর কিছুই না।
২. একটা ট্রিগার পছন্দ করুন
আপনার রুটিনে একটি নির্দিষ্ট ট্রিগার পছন্দ করুন। এটা হতে পারে এক কাপ চা বানিয়ে আপনার ডেস্কে বসা। অথবা হতে পারে আপনার মেডিটেশন সেসন শেষ করা। এমন কোনো ট্রিগার খুঁজে নিন যা আপনার মনকে শান্ত করবে। যখন আপনি রিল্যাক্স থাকবেন আপনি দেখবেন কাজ শুরু করা সহজ।
আপনার কী অবস্থা? কোন কাজ দিয়ে আপনি আপনার রুটিন শুরু করতে চান?
৩. শুরু করুন
একবার আপনার রুটিন বানানো হয়ে গেলে আর ট্রিগার খুঁজে পেলে আপনি শুরু করে দিন। আপনি যদি অল্প কয়েক মিনিটের জন্য আপনার টাস্ক বা কাজ শুরু করে চালাতে পারেন আপনি এটা চালিয়ে নেওয়ার জন্য যথেষ্ট গতিশীলতা পাবেন। আপনার হয়তো ফ্লো বা প্রবাহ কথাটার সাথে পরিচয় আছে। (ফ্লো এটা নাম দিয়েছিলেন মিহালি নামের একজন সাইকোলজিস্ট, তিনি এটাকে একটা মানসিক অবস্থা বলেছেন যখন আপনি কাজে ডুবে যান তখন আপনি অনেক বেশি ফোকাস অর্জন করেন ও কাজটা ভেতরে ভেতরে উপভোগ করা শুরু করেন)। আবার আপনি যত রিল্যাক্স হবেন, ফোকাস করা তত সহজ হবে। কাজেই শুরু করুন আর কাজ যে নিখুঁতভাবে শেষ করতে হবে এটা নিয়ে উদ্বিগ্ন হবেন না। আপনি যদি মোটিভেশন না পান বা সৃষ্টিশীলতা অনুভব না করেন, এটা নিয়ে ভাবার দরকার নাই। কাজ করতে করতে দেখবেন অনুপ্রেরণা ও সৃষ্টিশীলতা তৈরি হয়ে গিয়েছে।
৪. আপনাকে বিক্ষিপ্ত করে এমন সবকিছু সরিয়ে ফেলুন
যখন আপনি কাজ করবেন আপনাকে বিক্ষিপ্ত করবে এমন সব কিছুই সরান। আপনার ফোনের নোটিফিকেশন বন্ধ করুন, সোশাল মিডিয়া বিচ্ছিন্ন থাকার চেষ্টা করুন, ইন্টারনেট থেকে দূরে থাকুন যদি বা বিশেষ কোনো রিসার্চের কাজে এটা দরকার না হয়। অন্যদিকে বাকিদেরকে জানিয়ে
রাখুন আপনাকে বিরক্ত না করতে। আপনি যত বেশি এসব বিক্ষিপ্তকারী জিনিস হতে মুক্ত থেকে কাজ করার চর্চা করবেন আপনার মনোযোগ তত শক্তিশালী হবে।
৫. বাঁধামুক্ত থেকে কাজ করুন
এখন যেহেতু আপনি সব ডিস্ট্রাকশন বা বিক্ষিপ্তকারী জিনিসপত্র সরিয়ে ফেলেছেন, একটানা কাজ শুরু করুন।
আমি সুপারিশ করব ৪৫ মিনিট সর্বোচ্চ একটানা নিবিড়ভাবে কাজ করতে থাকুন, আপনি যদি কয়েকটা সেশন করতে চান প্রত্যেক কাজের ব্লকে ৫-১০ মিনিটের বিরতি নিন।
উপরের ৫টা ধাপ অনুসরণ করলে আপনার মনোযোগ ও উৎপাদনশীলতা বাড়বে। আর আপনি যখন গড়িমসি করা কমিয়ে দিবেন আপনার ভালো অনুভূতি জন্মাবে। আপনার জীবনের অন্যান্য অংশে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
কীভাবে লেজারের মতো তীক্ষ্ণ ফোকাস অর্জন করবেন এটা জানার জন্য এই বইয়ের ৩ নাম্বার সিরিজ পাওয়ারফুল ফোকাস দেখতে পারেন।
অ্যাকশান স্টেপ
অ্যাকশান গাইড ব্যবহার করে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করার মাধ্যমে লেজার তীক্ষ্ণ ফোকাস গড়ে তুলুনঃ
১. সিদ্ধান্ত নিন কোন সময়ে আপনি আপনার মূলকাজগুলোতে ফোকাস করবেন। তারপর প্রতিদিনের জন্য একই সময় ও একই জায়গা নিশ্চিত করুন।
২. আপনার সকালবেলার রুটিন শুরু করার জন্য একটি নির্দিষ্ট ট্রিগার পছন্দ করুন।
৩. শুরু করে দিন। যখন আপনি কিছু মিনিটের জন্য কাজ শুরু করবেন আপনার ফ্লো বা প্রবাহে চলে আসবেন এবং লম্বা সময় ধরে কাজ করতে থাকবেন।
৪. যেকোনো ধরনের বিক্ষিপ্ততা পরিহার করুন (ফোনের নোটিফিকেশন, ইন্টারনেট ইত্যাদি) এবং
৫. সবশেষ প্রতিবন্ধকতা ছাড়া কাজ করুন। ৪৫ মিনিট বাধাহীন ভাবে কাজ করার লক্ষ্য গ্রহণ করুন।
ওপেন সিস্টেম থেকে সতর্ক থাকুন
ওপেন সিস্টেমের অংশ হয়ে গেলে আপনার কাজে বিক্ষিপ্ততা সৃষ্টির সবচেয়ে বড় সম্ভাবনা তৈরি হয়।
ওপেন সিস্টেম আসলে কী?
ওপেন সিস্টেমকে সহজ ভাষায় একটা আবেদন বা অবস্থা বলা যায় যেখানে আপনাকে ক্রমাগত এবং কখনো শেষ না হওয়া উদ্দীপনা দেওয়া হয়। কিছু উদাহরণ যেমন ইমেল, ফেসবুক, ইউটিউব এবং আরো সাধারণভাবে বললে সমগ্র ইন্টারনেট।
আপনি যখন ওপেন সিস্টেমে ঢুকবেন তখন আপনার ওভার স্টিমুলেটেড বা অতিরিক্ত উদ্দীপ্ত হবার সম্ভাবনা জাগে। যেমন সকালে প্রথম কাজ যদি আপনার ফেসবুক চেক করা হয় তাহলে আপনি নিজেকে দেখবেন:
-কোনো কারণ ছাড়াই নিউজফিড স্ক্রল করে যাচ্ছেন
-একটার পর আরেকটা ভিডিও দেখছেন
-ফ্রেন্ডকে মেসেজ দিচ্ছেন আর বড় আলাপে ঢুকে যাচ্ছেন
যখন আপনি ফেসবুকটা বন্ধ করে দেবেন আপনি দেখবেন অতিরিক্ত স্টিমুলেটেড হয়ে গেছেন আর আপনার কাজ শুরু করতে কষ্ট হচ্ছে।
এই কারণেই আপনাকে ওপেন সিস্টেমে ঢোকা থেকে নিজেকে আটকাতে হবে। আর যদি ঢুকেই পড়েন এর ঝুঁকি সম্পর্কে আপনাকে বুঝতে হবে। ওপেন সিস্টেমে আসলে কোথাও পৌঁছানোর উপায় নাই, আপনি যে শেষ করবেন এমন কোনো পয়েন্ট নেই এবং আপনি বিক্ষিপ্ত হবেন এমন অসীম সংখ্যক রাস্তা সেখানে আছে। ফলে আপনি প্রতিদিন আপনার কয়েক ঘণ্টা সময় অপচয় করেন। সংক্ষেপে ওপেন সিস্টেম ডিস্ট্রাকশন বা বিক্ষিপ্ততা তৈরি করে। এর বদলে আপনি ক্লোজড সিস্টেম ডিজাইন করার প্রচেষ্টা করুন।
ক্লোজড সিস্টেম কী?
এই সিস্টেমগুলোতে আসলে বিক্ষিপ্ততার কোনো সুযোগ নেই। ফলে তারা আসলে শুধুমাত্র আপনার কাজ করতে আপনাকে বাধ্য করে। যেমন কিছু উদাহরণ এক্সেল স্প্রেডশিট, ওয়ার্ড ডকুমেন্ট অথবা পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন।
এই দিনগুলোতে আমার কম্পিউটারে যেকোনো কাজ শুরু করার আগে আমি যে বইয়ের কাজ করছি সেই ফাইল ওপেন করার চেষ্টা করি। আমি ফোন চেক করা বাদ দিয়ে দেই। অন্য কথায় আমি আমার দিন একটা ক্লোজড সিস্টেম দিয়ে শুরু করি আর আপনাকেও এমন করতে বলছি।
যখন আপনি আপনার দিন ক্লোজড সিস্টেম দিয়ে শুরু করবেন তখন আপনি অতিরিক্ত স্টিমুলেটেড হওয়া থেকে বিরত থাকতে পারবেন। যেটা আপনার জন্য চ্যালেঞ্জিং কাজ করা সহজ করে ফেলবে। আর যদি আপনি প্রতিদিন এটা করেন আপনি ভালো অনুভব করবেন এবং আরো কাজ করতে চাইবেন। কাজেই গড়িমসি জয় করা ও উৎপাদনশীল হওয়ার সম্ভবত সবচেয়ে বড় সিক্রেট বা গোপন রহস্য হচ্ছে আপনার দিন ক্লোজড সিস্টেম দিয়ে শুরু করুন। এর মধ্য দিয়ে আপনি অগণিত বিক্ষিপ্ততা থেকে বাঁচতে পারবেন।
মনে রাখবেন সকালে আপনি প্রথমেই যে কাজটা করেন তা আপনি যা ভাবেন তার চেয়ে অনেক অনেক গুরুত্বপূর্ণ। একটা ছোট্ট সিদ্ধান্ত আপনার সারাদিনের উৎপাদনশীলতায় নাটকীয় প্রভাব ফেলতে পারে।
অ্যাকশান স্টেপ
অ্যাকশান গাইড ব্যবহার করে আপনাকে বিক্ষিপ্ত করে এমন কিছু ওপেন সিস্টেমের উদাহ
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।