সকল মেনু

মিষ্টি না খেলেও হতে পারে ডায়াবেটিস, সতর্ক হোন ৬ লক্ষণে

শরীরে রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়তে শুরু করাই হলো ডায়াবেটিস। তবে ডায়াবেটিসের আগে প্রি-ডায়াবেটিসের একটি পর্যায় থাকে, যা সময়মতো নিয়ন্ত্রণ করা গেলে প্রতিরোধ করা যেতে পারে। অনেকেই ধারণা, চিনি খেলে তবেই ডায়াবেটিস হয়। কিন্তু, তা নয়।
অন্য কিছু কারণেও হতে পারে ডায়াবেটিস।শরীরে ডায়াবেটিস লুকিয়ে থাকলে ৬ লক্ষণ দেখা যাবে। প্রি-ডায়াবেটিসের লক্ষণ কী এবং কিভাবে প্রতিরোধ করা যায়, জেনে নিন।ডায়াবেটিস হলো এমন একটি অবস্থা, যেখানে রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকে।

কিন্তু ডায়াবেটিস হওয়ার জন্য যথেষ্ট নয়, এই অবস্থা ডায়াবেটিসের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ঝুঁকির কারণ। যদি এর লক্ষণগুলো (প্রি-ডায়াবেটিসের লক্ষণ) সময়মতো শনাক্ত করা যায় এবং চিকিৎসা করা হয়, তাহলে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা সম্ভব।প্রি-ডায়াবেটিসের লক্ষণপ্রি-ডায়াবেটিসের প্রাথমিক পর্যায়ে কোনো নির্দিষ্ট লক্ষণ থাকে না। এটি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু লক্ষণ দেখা দিতে পারে।

যেমন—ঘন ঘন পিপাসা— যদি ক্রমাগত তৃষ্ণা লাগে এবং প্রচুর পানি খান, তবে এটি প্রি-ডায়াবেটিসের লক্ষণ হতে পারে।
ঘন ঘন প্রস্রাব— যদি রাতেও ঘন ঘন প্রস্রাবের সমস্যা থাকে, তবে এটি প্রি-ডায়াবেটিসের ইঙ্গিত দেয়।
ক্লান্ত বোধ করা— যদি সব সময় ক্লান্ত বোধ করেন এবং কাজ করার ক্ষমতা কমে যায়, তাহলে এটিও প্রি-ডায়াবেটিসের লক্ষণ হতে পারে।
ওজন বৃদ্ধি— যদি ওজন দ্রুত বৃদ্ধি পায়, বিশেষ করে পেটের চারপাশে, তাহলে এটিও প্রি-ডায়াবেটিসের লক্ষণ হতে পারে।
ঝাপসা দৃষ্টি— যদি ঠিকমতো দেখতে না পান বা জিনিসপত্র ঝাপসা দেখাচ্ছে, তাহলে এটিও প্রি-ডায়াবেটিসের লক্ষণ হতে পারে।
ত্বকের চুলকানি— যদি ত্বকে চুলকানি হয়, তাহলে এটিও প্রি-ডায়াবেটিসের লক্ষণ হতে পারে।প্রি-ডায়াবেটিসের কারণঅতিরিক্ত ওজন— অতিরিক্ত ওজন শরীরকে কার্যকরভাবে ইনসুলিন ব্যবহার করতে বাধা দেয়।
শারীরিক কার্যকলাপের অভাব— নিয়মিত ব্যায়াম না করলে শরীরে ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে পারে।
জেনেটিক ফ্যাক্টর— যদি পরিবারের কারো ডায়াবেটিস থাকে, তাহলে ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি বেশি।
বয়স— বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রি-ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।

কিভাবে প্রতিরোধ করবেন

প্রি-ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা যেতে পারে অথবা এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও কমানো যেতে পারে। এর জন্য কিছু বিষয়ের যত্ন নিতে হবে। যেমন—

ওজন— যদি ওজন বেশি হয়, তাহলে ওজন কমানো প্রি-ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে পারে।
নিয়মিত ব্যায়াম— প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট শারীরিক পরিশ্রম করলে শরীরে ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে।
স্বাস্থ্যকর খাবার— ফলমূল, শাক-সবজি, গোটা শস্য এবং কম চর্বি ও প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান।
চিনি ও স্যাচুরেটেড ফ্যাট— চিনি ও স্যাচুরেটেড ফ্যাট যুক্ত খাবার কম খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
ধূমপান— ধূমপান ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়।

মানসিক চাপ— মানসিক চাপ রক্তে শর্করার মাত্রাকেও প্রভাবিত করে। তাই মানসিক চাপ কমাতে যোগব্যায়াম, ধ্যান বা অন্যান্য কৌশলের সাহায্য নিন।

সূত্র : আজতক বাংলা

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

TOP