সকল মেনু

প্রতিদিনের যেসব খাবারে বাড়ে ক্যান্সার-ডায়াবিটিসের ঝুঁকি

প্রতিদিন আমরা অনেক রকম খাবার খাই, যেগুলো স্বাদে দারুণ হলেও শরীরের ভেতরে ধীরে ধীরে বিষ ছড়িয়ে দেয়। আশ্চর্যের বিষয় হলো, এই খাবারগুলোর ক্ষতিকর দিক জানা সত্ত্বেও বহু মানুষ সেগুলো খাওয়া ছাড়েন না। আর এই কারণেই পুষ্টিবিদরা বিভিন্ন সতর্কবার্তা দিয়ে থাকেন।

পুষ্টিবিদরা গবেষণা ও জনস্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব বিবেচনা করে কিছু খাদ্যপণ্যকে ‘বিপজ্জনক’ বা বিষের মতো ক্ষতিকর বলে চিহ্নিত করেছেন।

তারা জানিয়েছে, যেসব খাবারে অতিরিক্ত লবণ, চিনি ও তেল ব্যবহার করা হয়, সেগুলো খুবই বিপজ্জনক। এ জাতীয় খাবারে ট্রান্স ফ্যাট, রাসায়নিক ভেজাল বা নিষিদ্ধ খাদ্যরং থাকতে পারে। সাধারণত এই উপাদানগুলো প্রতিটি বাড়িতেই রান্নার সময় ব্যবহৃত হয় এবং এগুলো খাবারের স্বাদ বাড়ালেও নিয়মিত বেশি পরিমাণে খেলে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।

পুষ্টিবিদরা পরামর্শ দিয়েছেন, শরীরকে সুস্থ রাখতে লবণ, চিনি ও তেলের ব্যবহার কমিয়ে আনা উচিত।

এই উপাদানগুলো কম খাওয়ার মাধ্যমে রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, হৃদরোগ, স্থূলতা এমনকি ক্যান্সারের মতো প্রাণঘাতী রোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব। 

পুষ্টিবিদদের মতে, অতিরিক্ত লবণ, চিনি ও স্যাচুরেটেড ফ্যাটযুক্ত খাবার শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। নিয়মিতভাবে এই জাতীয় খাবার খেলে রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে, হৃদরোগ ও ডায়াবেটিস হতে পারে, এমনকি দীর্ঘমেয়াদে ক্যান্সারের ঝুঁকিও তৈরি হতে পারে।

বিশেষ করে প্যাকেটজাত স্ন্যাকস, মিষ্টি পানীয় ও অধিকাংশ রাস্তার খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

পুষ্টিবিদরা আরো জানিয়েছে, ট্রান্স ফ্যাট সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় হাফ-হাইড্রোজেনেটেড তেলে তৈরি খাবারে। যেমন : কেক, কুকিজ, ফ্রায়েড আইটেম ও শর্টেনিংজাতীয় প্রোডাক্টে। এই ট্রান্স ফ্যাট সরাসরি হৃদযন্ত্রের ক্ষতি করে। তাই পুষ্টিবিদরা ট্রান্স ফ্যাটকে সম্পূর্ণভাবে খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

তা ছাড়া আমাদের দেশে কিছু খাবারের রং আইনিভাবে নিষিদ্ধ।

তারপরও বহু মিষ্টি ও রাস্তার খাবারে এই রং ব্যবহৃত হচ্ছে। অনেক রঙে আর্সেনিকের মতো বিষাক্ত উপাদান থাকতে পারে, যা শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ক্ষতি করে। 

এ ছাড়া এমন অনেক খাবার আছে, যেগুলো কারখানায় তৈরি হয় এবং তাতে অতিরিক্ত তেল, লবণ ও চিনি থাকে। যেমন : চিপস, ইনস্ট্যান্ট নুডলস, প্যাকেট বিস্কুট ইত্যাদি। এই খাবারগুলো নিয়মিত খেলে রক্তচাপ বেড়ে যায়, ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় এবং কোলেস্টেরল ও হৃদরোগের আশঙ্কাও বাড়ে।

সবচেয়ে সাধারণ যেটি, সেটি হলো রাস্তার খাবার। যেমন : সমুচা, সিঙাড়া, পাকোড়া ইত্যাদি। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এসব খাবার বানানো হয় নিম্নমানের তেল বা ট্রান্স ফ্যাট দিয়ে। দীর্ঘদিন ধরে এই জাতীয় খাবার খেলে স্থূলতা, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল সংক্রান্ত সমস্যা ঘন ঘন দেখা দিতে পারে।

পুষ্টিবিদদের পরামর্শ

  • দৈনন্দিন খাদ্যে লবণ, চিনি ও তেল কম ব্যবহার করুন।
  • ট্রান্স ফ্যাট সম্পূর্ণভাবে খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিন।
  • প্যাকেটজাত ও রাস্তার খাবার সীমিত পরিমাণে গ্রহণ করুন।
  • রং ও রাসায়নিকমুক্ত স্বাস্থ্যকর খাবার বেছে নিন
  • সুষম খাদ্যভ্যাস গড়ে তুলুন, শরীর বাঁচান।

সূত্র : নিউজ ১৮

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

TOP