ইদানীং ঢাকার অধিকাংশ মানুষকে দেশলাইয়ের শলাকার মতো লাগে। সারাক্ষণ তাদের মেজাজ তিরিক্ষি হয়ে থাকে। সামান্য পান থেকে চুন খসলেই তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠে। রিকশাচালক থেকে বাসের সহকারী, যানজটে আটকা পরা অফিসফেরত কর্মজীবী কিংবা খেটে খাওয়া পথচলতি মানুষ—প্রায় সবাই হরদম নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছেন।
বিশ্বের বসবাসযোগ্য শহরের তালিকার তলানিতে থাকা শহরের বাসিন্দার জন্য এমন হওয়াটা খুব অস্বাভাবিকও নয়। এই শহরের একটা বিশাল সংখ্যার মানুষ আসলে কোনো রকম নাগরিক সুবিধা পান না। ঢাকা একদিকে যেমন বসবাসের অযোগ্য, ঠিক তেমনি ব্যয়বহুল শহর। এই শহরে টিকে থাকতে নাগরিকদের প্রতিনিয়ত মানসিক ও শারীরিক শক্তির চরম পরীক্ষা দিতে হয়। অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার এই শহরে টিকে থাকাটাই অস্বাভাবিক।
দিনভর তীব্র যানজট, গণপরিবহনের সংকট, তাপপ্রবাহ-জলাবদ্ধতায় ভোগান্তি, শোভন কর্মপরিবেশ ও কর্মঘণ্টা না থাকা, জানমালের নিরাপত্তাহীনতা, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, লাফিয়ে বাড়তে থাকা বাড়িভাড়া, ভেজাল খাবারের ছড়াছড়ি, সুস্থ বিনোদনের অভাব, উচ্চমূল্যের মানহীন শিক্ষা, ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়ার প্রাদুর্ভাব, দুর্নীতি-অনিয়মে পিষ্ট, আয়ের সঙ্গে জীবনযাত্রার ব্যয় মেটাতে হিমশিম খাওয়াসহ নানা সংকট-জটিলতায় একেকটি দিন পার করতে হয় ঢাকার বাসিন্দাদের। ন্যূনতম নাগরিক সুযোগ-সুবিধাবঞ্চিত হয়ে এই শহরে বসবাস করাই কখনো কখনো অভিশাপ মনে হতে পারে।
প্রতিবছর বাসযোগ্যতাসহ কিছু মানদণ্ডের ভিত্তিতে বিশ্বের বসবাসযোগ্য শহরের তালিকা তৈরি করে দ্য ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ)। রাজনৈতিক–অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, অবকাঠামো, পরিবেশ ও সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলের মতো বিষয়গুলোর ভিত্তিতে এই তালিকা তৈরি করা হয়।
চলতি বছরের হালনাগাদ তালিকা অনুযায়ী, বসবাসযোগ্যতার মানদণ্ডে মোট ১৭৩টি শহরের মধ্যে তিন ধাপ পিছিয়ে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার অবস্থান তলানিতে; ১৭১তম। তালিকায় ঢাকার পেছনে রয়েছে কেবল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক ও লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলি। গত বছর সিরিয়ায় সরকার পরিবর্তন হলেও দামেস্ক এখনো গৃহযুদ্ধের ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছে। একই অবস্থা ত্রিপোলিরও।
গত বছরের রাজনৈতিক অস্থিরতার পর বসবাসযোগ্যতার বিভিন্ন মানদণ্ডে ঢাকার অবস্থানের আরও অবনতি হয়েছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর ঢাকার নিরাপত্তাব্যবস্থার দুর্বলতা বেশি চোখে পড়ছে। প্রতিনিয়ত ছিনতাই, অস্ত্র হাতে প্রকাশ্য মহড়া, নৃশংস হত্যার ভিডিও-ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বদৌলতে ভাইরাল হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের বছরপূর্তি এগিয়ে এলেও নিরাপত্তার ঘাটতি এখনো প্রকট।
এই শহরে নাগরিকদের জীবনের ন্যূনতম নিরাপত্তা নেই। নির্মাণাধীন ভবন থেকে ইট পড়ে, জলাবদ্ধ সড়কে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে, পরিবারের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়ে অগ্নিকাণ্ডে, ফুটপাতে দাঁড়িয়ে থাকার সময় বাসচাপায় কিংবা দুই বাসের পাল্লাপাল্লির মাঝে পড়ে এই শহরের বাসিন্দারা মারা পরতে পারেন যেকোনো সময়। অস্বাভাবিক মৃত্যুই ঢাকার স্বাভাবিক ঘটনা।
বাসযোগ্যতায় উন্নতি বা অবনতি তা এক দিনে হয় না। ধীরে ধীরে তা দৃশ্যমান হয়। বাসযোগ্যতার সূচকে ঢাকা শহরের তলানিতে অবস্থানের অন্যতম কারণ, অতিরিক্ত জনসংখ্যা ও অধিক জনঘনত্ব। উন্নয়ন পরিকল্পনায় জনঘনত্ব এবং অবকাঠামো ও নাগরিক সুযোগ-সুবিধার আলোকে নগরের ভারবহনক্ষমতা বিবেচনা না করা হলে যেকোনো শহর তার বাসযোগ্যতা হারায়।
নগর-পরিকল্পনাবিদদের সংগঠন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) তথ্যমতে, মহানগর বা মেগাসিটির ক্ষেত্রে জনঘনত্বের মানদণ্ড ধরা হয় একরপ্রতি সর্বোচ্চ ১২০ জন। অথচ ঢাকার ৬৩ শতাংশ এলাকায় প্রতি একরে ৩০০ জনের বেশি মানুষ বাস করে। ঢাকার লালবাগ, বংশাল, গেন্ডারিয়া ও সবুজবাগে প্রতি একরে ৭০০ থেকে ৮০০ মানুষ বাস করে, যা বিশ্বে সর্বোচ্চ।
দেশের প্রায় সব অফিসের সদর দপ্তর রাজধানীতে থাকায় অন্যান্য শহর ও গ্রামগঞ্জের মানুষকে দাপ্তরিক কাজে ছুটে আসতে হয় এখানে। বেকারত্ব দিনে দিনে শহরটিকে গ্রাস করছে। বাড়ছে অপরাধ। বাংলাদেশে পরিসংখ্যান ব্যুরো ও জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের পরিসংখ্যানে জানা যায়, প্রতিদিন ঢাকায় নতুন ১ হাজার ৭০০ মানুষ যোগ হচ্ছে।
নিত্যনতুন বাড়তি মানুষের চাহিদা সামাল দিতে ঢাকায় অবিরাম গড়ে উঠছে বৈধ-অবৈধ স্থাপনা, বাজারঘাট। এখানে ভবন নির্মাণে তেমন কোনো বিধিনিষেধ মানা হচ্ছে না। ফলে বাড়ছে ভবনধস ও অগ্নিনিরাপত্তার ঝুঁকি। সমন্বিত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মসূচি (সিডিএমপি) ও জাইকার করা এক যৌথ জরিপে জানা যায়, ঢাকায় সাত বা তার বেশি মাত্রার ভূমিকম্প হলে শহরের ৭২ হাজার ভবন ভেঙে পড়বে। শুধু ভবনধস নয়, ঢাকার অপরিকল্পিত বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও গ্যাসলাইন এ নগরকে একটি অগ্নিকূপে পরিণত করতে পারে।
সরকারি জায়গা, রেললাইনের পাশে গড়ে উঠছে নতুন বস্তি। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় বস্তি রয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার। ঘরভাড়ায় বাড়তি ব্যয়ের পাশাপাশি বস্তির মানুষকে থাকতে হয় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে। বস্তির সব ঘরে সুপেয় পানির ব্যবস্থা থাকে না। এসব বস্তিতে ন্যূনতম নাগরিক সুবিধা পেতেও গুনতে হয় উচ্চমূল্য। অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ, চোরাই গ্যাসের লাইন দিয়ে রমরমা ব্যবসাকে ঘিরে গড়ে উঠছে অসাধু চক্র।
ঢাকা শহর বাসযোগ্যতায় আরও পিছিয়ে যাচ্ছে, তার অন্যতম কারণ ঢাকা শহরে প্রতিদিনই উন্মুক্ত স্থান কমছে। হাতিরঝিল ভরাট, পান্থকুঞ্জ পার্কে এক্সপ্রেসওয়ে, আনোয়ারা উদ্যানসহ সরকারি অনেক খাস জায়গায় উন্নয়ন প্রকল্প হচ্ছে। একটি আধুনিক শহরে প্রতি আধা বর্গকিলোমিটার এলাকার জন্য একটি করে খেলার মাঠ প্রয়োজন। ঢাকার দুই সিটিতে মাঠ দরকার অন্তত ৬১০টি। কিন্তু ঢাকার দুই সিটিতে খেলার মাঠ রয়েছে ২৫৬টি। ঢাকার ১২৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৪১টিতেই কোনো খেলার মাঠ নেই।
এই শহরে বিনোদনের জায়গার বড় অভাব। রাজধানীর শাহবাগে সরকারিভাবে চালু হওয়া দেশের প্রথম শিশুপার্কটি গত সাড়ে ছয় বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ আছে। ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে শিশুপার্ক বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে বিনোদনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিশু-কিশোরেরা। কিন্তু এত বছরেও শিশুপার্কটি চালুর উদ্যোগ নেই কর্তৃপক্ষের।
সময়ের পরিক্রমায় ঢাকায় সরকারি ও বেসরকারি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা যেমন বেড়েছে। কিন্তু এই সংখ্যাবৃদ্ধি মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে পারেনি, যার প্রমাণ উচ্চশিক্ষিত বেকারের ক্রমবর্ধমান সংখ্যা এবং বৈশ্বিক মানদণ্ডে দেশের পিছিয়ে পড়া অবস্থান। শিক্ষার সামগ্রিক পরিবেশ ক্রমাগত অবনতির দিকে যাচ্ছে, বিশেষ করে প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে। চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের পর উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে বড় ধরনের সংস্কারের প্রত্যাশাও পূরণ হয়নি।
ঢাকা শহরে প্রতিদিন বাড়ছে যানবাহনের সংখ্যা। কিন্তু রাস্তাঘাটের পরিধি তেমনটা বাড়ছে না। জনসংখ্যার অনুপাতে অপ্রতুল রাস্তা চলে যাচ্ছে হকারদের দখলে। দিনে দিনে যানজট নিচ্ছে এক ভয়াবহ রূপ। কয়েক বছর আগে বিশ্বব্যাংকের জরিপে দেখা গেছে, যানজটের কারণে রাজধানী ঢাকায় প্রতিদিন ৩২ লাখ কর্মঘণ্টা নষ্ট হতো। সময়ের পরিক্রমায় যানজটের তীব্রতা বেড়েছে, ফলে স্বাভাবিকভাবেই কর্মঘণ্টা নষ্টের পরিমাণ এখন আরও বাড়ার কথা।
ঢাকা শহরের গাছপালা কেটে দিন দিন শহরকে উত্তপ্ত করা হচ্ছে। ভবন নির্মাণের সময় নিয়ম অনুযায়ী চারপাশে ফাঁকা জায়গা রাখার কথা বলা হয়েছে। সেই ফাঁকা জায়গায় গাছ রোপণ বা সবুজায়ন করার কথা রয়েছে, কিন্তু বাস্তবে তা মানছে না কেউ। বর্তমান সময়ে ঢাকার তাপমাত্রা অসহনীয় সেই সঙ্গে বাতাসে দূষণের মাত্রা বেড়েই চলেছে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের ‘বৈশ্বিক বায়ু মান প্রতিবেদন ২০২৪’-অনুযায়ী, বায়ুদূষণে ২০২৪ সালে দেশ হিসেবে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ। আর নগর হিসেবে বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ নগর ছিল ঢাকা। বায়ুদূষণের অন্যতম উপাদান পিএম ২.৫ বা অতিক্ষুদ্র বস্তুকণার উপাদান ধরেই এই বায়ুর মান নির্ণয় করা হয়। ২০২৪ সালে ঢাকার প্রতি ঘনমিটার বায়ুতে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণার (পিএম ২.৫) উপস্থিতি ছিল ৭৮ মাইক্রোগ্রাম। এটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বেঁধে দেওয়া মানদণ্ডের চেয়ে অন্তত ১৫ গুণ বেশি।
ঢাকার বাসিন্দাদের জন্য নামকাওয়াস্তে স্বাস্থ্যকাঠামো গড়ে উঠেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, একটি স্বাস্থ্যব্যবস্থা ঠিকভাবে কাজ করার জন্য ছয়টি বিষয় নিশ্চিত করা প্রয়োজন—প্রয়োজনীয় অর্থায়ন, জনবল, চিকিৎসাসরঞ্জাম, তথ্য-উপাত্ত, সেবাদানের সঠিক নির্দেশিকা ও যথাযথ ব্যবস্থাপনা। কাঙ্ক্ষিত মানের স্বাস্থ্যসেবা পান না বাসিন্দারা।
বসবাস অযোগ্য হলেও জীবনযাত্রার ব্যয়ের দিক থেকে টরন্টো, ক্যালগারি, মন্ট্রিল ও লিসবনের মতো শহরগুলোর কাছাকাছি অবস্থানে রয়েছে ঢাকা। ব্রিটিশ ম্যাগাজিন দ্য ইকোনমিস্টের ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের বিশ্বব্যাপী জীবনযাত্রার ব্যয় নিয়ে সর্বশেষ জরিপের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা এখন দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম ব্যয়বহুল শহর।
ঢাকাকে বসবাসযোগ্য শহরের তালিকার তলানি থেকে টেনে তোলার কাজটি খুবই দুঃসাধ্য, প্রায় অসম্ভব। ঢাকা শহরের নাগরিক সেবা ও সুবিধা নিশ্চিত করার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সংস্থার সংখ্যা অনেক, যাদের মধ্যে ন্যূনতম সমন্বয় নেই। বরং কোনো দুর্ঘটনা বা দুর্ভোগের চিত্র সামনে এলে এক সংস্থা অন্য সংস্থাকে দোষারোপই করে। সিটি করপোরেশনের মেয়র, ওয়াসার এমডি বা রাজউকের চেয়ারম্যানের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আসা ব্যক্তিরা গলাবাজিতে ব্যস্ত থাকায় কাজের কাজ হয় কম।
ঢাকাকে বাসযোগ্য করতে হলে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে হবে। রাজধানীকে বিকেন্দ্রীকরণ করা দরকার। জেলা শহরগুলোয় ঢাকার সব সুযোগ-সুবিধা দেওয়া দরকার। যাতে যেকোনো কারণেই মানুষের ঢাকায় আসতে না হয়। বাসযোগ্যতার উন্নতি করতে হলে ঢাকামুখী মানুষের স্রোত ঠেকাতে হবে।
ঢাকায় জনগণকে সেবা দেওয়ার প্রতিষ্ঠানগুলোর যোগ্যতা ও দক্ষতায় যেমন ঘাটতি রয়েছে, অন্যদিকে দুর্নীতি রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়িয়ে পড়ায় সুশাসনের প্রচণ্ড ঘাটতি আছে। সুশাসন না থাকলে শুধু অবকাঠামো দিয়ে বাসযোগ্যতায় উন্নতি হবে না। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে পারলে বাসযোগ্যতায় কিছুটা উন্নতি সম্ভব। ঢাকায় এখন সুশাসন, সবুজায়ন বৃদ্ধি এবং প্রকৃতিভিত্তিক পরিকল্পনার কথা ভাবা উচিত। একই সঙ্গে দখল ও দূষণ নিয়ন্ত্রণে সরকারকে আরও সুদৃষ্টি দিতে হবে।
নাগরিক পরিষেবা, নগরের উন্নয়নে এলাকাভিত্তিক সাম্যতা, পরিবেশ সুরক্ষা, জনস্বাস্থ্যকে প্রাধান্য দিয়ে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন, যানজট, বায়ু-পানিসহ পরিবেশ দূষণ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার টেকসই সমাধান বের করতে না পারলে ঢাকা বাসযোগ্য হবে না।
সামছুর রহমান আদিল : সাংবাদিক ও কমিউনিকেশন স্পেশালিস্ট
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।